বর্তমানে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে হাসপাতালে ভর্তি করে তার অবস্থার উন্নতির জন্য।কিন্তু একজন ডেঙ্গু রোগীকে কখন রক্ত দিতে হবে সেটা নিয়ে অনেকের ভিতরই একটা মিশ্র উত্তর কাজ করে,আজকে এই বিষয়টি নিয়েই কথা বলবো।

সাধারণত যখন একজন ডেঙ্গু রোগীর প্লেটলেট ১ লাখ এর নিচে, WBC কাউন্ট ৪ হাজার এর নিচে এবং হেমাটক্রিট কাউন্ট ৫-১০ % বেড়ে যায় তখন মেডিকেলের ভাষায় একে ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন বলা হয়, এই ওয়ার্ণিং সাইন এর সাথে পেটে ব্যাথা, ২৪ ঘণ্টায় ৩-৪ বার বমি, দাতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, রক্তবমি, নাক দিয়ে রক্ত, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া এবং পজিটিভ টর্নিকোয়েট টেস্ট থাকে।

যদি রোগী ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এর দিকে যায় এবং শক এর লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তাকে ক্রিস্টালয়েড স্যালাইন শিরার মাধ্যমে দেয়া হয় ১-২ ঘণ্টা ,অবস্থার উন্নতি হলে স্যালাইন কমিয়ে আনা হয়।
যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে হেমাটোক্রিট পরীক্ষা পাঠিয়ে দেয়া হয়।যদি বেড়ে যায় তাহলে কলয়েড স্যালাইন এবং উন্নতি হলে ক্রিস্টালয়েড স্যালাইন দেয়া হয়।
কিন্তু যদি হেমাটোক্রিট কমে তাহলেমনে সেক্ষেত্রে রোগীকে রক্ত দেয়া হয় এন
এবং অবস্থার উন্নতি হলে ক্রিস্টালয়েড স্যালাইন দেয়া হয়।

প্লেটলেট এর মাত্রা ২৫ হাজার নিচে নেমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্লেটলেট নিতে হবে।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম থেকে উন্নতি না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে, তাই কোনো সময় নষ্ট না করে অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সব সময়। মনে রাখবেন,একজন চিকিৎসকের রোগ সম্পর্কে যা জ্ঞান তা কখনোই একজন ফার্মেসি তে বসা ওষুধ বিক্রেতার কাছে নেই। তাই সময় নষ্ট করে নিজের কাছের মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিবেন না।আজ এ পর্যন্তই।

ডা:মোহাম্মদ আতাউদ জাহান রেজাউল
এম.বি.বি.এস ( ডি. ইউ)
সিসিডি(বারডেম)
ডি ও সি(স্কিন এবং ভেনেরোলজি)
পিজিটি (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)
কার্ডিয়াক আইসিইউ মেডিকেল অফিসার
গ্রীন লাইফ হার্ট সেন্টার
গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল